মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ২য় বার্ষিক হাইস্কুল আযান, কেরাত ও সিরাত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

সম্পন্ননিজস্ব প্রতিবেদক

গভীর ধর্মীয় আবেগ ও উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হলো মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় বার্ষিক হাইস্কুল আযান, কেরাত ও সিরাত প্রতিযোগিতা ২০২৫। দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ছিল বর্ণাঢ্য আয়োজনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যেখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শত শত শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।এবারের প্রতিযোগিতায় জেলার মোট ১২টি হাইস্কুল থেকে ২৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষে যোগ্যতা অর্জন করে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮১ জন শিক্ষার্থী। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই আসরে গ্রুপ ‘ক’ ও ‘খ’ থেকে বিচারকমণ্ডলী সর্বমোট ১০ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ পুরস্কার তুলে দেন মনোয়ারা জালালউদ্দিন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান শিকদার (কামাল)। তাঁর হাতে পুরস্কার গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা যেমন উচ্ছ্বসিত হয়, তেমনি অভিভাবক ও শিক্ষকরাও আনন্দ প্রকাশ করেন। অতিথিরা বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতা তরুণ প্রজন্মকে ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং তারা ফাউন্ডেশনের এই মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করে জে.কে ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কাতার প্রবাসী ইমাম হাফেজ মাওলানা নিয়াজ মুহাম্মদ রিফাত। পরবর্তী সময়ে নাতে রাসূল (সা.) পরিবেশন করেন কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মাওলানা সাঈদুজ্জামান নূর।আলোচনা সভায় দ্বীন ও নৈতিকতার গুরুত্ব তুলে ধরে মূল্যবান বয়ান রাখেন—দ্বীনিয়াত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মুফতি সালমান আহমাদ,বিশিষ্ট আলেম মুফতি মুরতাজা হাসান,মাওলানা নাসির আহমাদ,এবং আইনজীবী এ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সর্দার।অতিথিদের বক্তব্যে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় যে, স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় প্রতিযোগিতা আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মিক ও নৈতিক বিকাশে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং সমাজে সুস্থ ধারার অনুপ্রবেশ ঘটায়।সমাপনী বক্তব্যে ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জনাব কামরুজ্জামান শিকদার (কামাল) বলেন—”আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইসলামী চেতনায় গড়ে তুলতে এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা হবে। আমরা চাই, আগামী দিনের নেতৃত্ব নেবে এমন একটি প্রজন্ম, যারা হবে ঈমানদার, আদর্শবান ও নৈতিকভাবে দৃঢ়।”সবশেষে বিখ্যাত ইসলামি স্কলার মুফতি মুহিব্বুল হক্ব-এর হৃদয়গ্রাহী মোনাজাতের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।অনুষ্ঠানকে ঘিরে স্কুল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়। সারাদিনব্যাপী পরিবেশ ছিল এক ভিন্নমাত্রিক ধর্মীয় চেতনা ও আবেগে ভরপুর। বলা যায়, এই আয়োজন শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়—বরং ছিল তরুণদের আত্মিক বিকাশ, সামাজিক সম্প্রীতি এবং ইসলামী চেতনাকে প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *